গাছ পরিবেশের প্রকৃত বন্ধু। একথা সত্যি হলেও বাংলাদেশে এমন কিছু গাছ আছে যা পরিবেশ, পশুপাখি ও মানুষের জন্য উপকারী নয়। এমনই একটি ক্ষতিকারক গাছ হলো ইউক্যালিপটাস। এই ইউক্যালিপটাস গাছ চরম ক্ষতিকারক হলেও লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় এই গাছের উৎপাদন, বিক্রি ও রোপণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই গাছ দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় ও সরকারিভাবে কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এই ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। আর এই গাছ রোপনের প্রতি মানুষের ঝুঁকে পড়ার কারন হলো অতি অল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব। কিন্তু বর্তমানে এ গাছ বিভিন্ন স্থানে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। জ্বালানির চাহিদা কিছুটা পূরণ করলেও অধিক পানি শোষণকারী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
জানা যায়, ইউক্যালিপটাস গাছ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না ছড়ায় এ গাছে কোন পাখি বসে না ও বাসাও বাঁধে না। কথিত আছে যে, একটি ছোট শহরে বছরে যে পরিমাণ পানি দরকার হয় একটি ইউক্যালিপটাস গাছ সে পরিমাণ পানি শোষণ করে। এ গাছের কোন ডালপালা না থাকায় এখান থেকে কোন ছায়াও পাওয়া যায় না এবং অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সোয়ামেইলগুলোতে অন্যান্য গাছের তুলনায় ইউক্যালিপটাস গাছ বেশি দেখা যায় এবং বিক্রি হয়। বাড়ির আশেপাশে, পুকুর ও নদীর পাড়, রাস্তায়, পতিত জমিতে এবং ফসলের মাঠের আইলে মানুষ ইউক্যালিপটাস গাছ ব্যাপক হারে লাগিয়েছে। শুধু তাই নয় জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ইউক্যালিপটাস গাছ শোভা পাচ্ছে।